শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

কিডনি রোগের কী কী লক্ষণ দেখা যায়ঃ


১) প্রস্রাবে পরিবর্তনঃ

কিডনি রোগের একটি বড় লক্ষণ হলো প্রস্রাবে পরিবর্তন হওয়া। কিডনির সমস্যা হলে প্রস্রাব বেশি হয় বা কম হয়। বিশেষত রাতে এ সমস্যা বাড়ে। প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হয়। অনেক সময় প্রস্রাবের বেগ অনুভব হলেও প্রস্রাব হয় না।
২) প্রস্রাবের সময় ব্যথাঃ

প্রস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া কিডনির সমস্যার আরেকটি লক্ষণ। মূলত প্রস্রাবের সময় ব্যথা, জ্বালাভাব এগুলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের লক্ষণ। যখন এটি কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে তখন জ্বর হয় এবং পিঠের পেছনে ব্যথা করে।


৩) প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়াঃ

প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত গেলে এটি খুবই ঝুঁকির বিষয়। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ।




৪) ত্বকে র‌্যাশ হওয়াঃ

কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়লে রক্তে বর্জ্য পদার্থ বাড়তে থাকে। এটি ত্বকে চুলকানি এবং র‌্যাশ তৈরি করতে পারে।

৫) বমি বমি ভাবঃ

রক্তে বর্জ্য পদার্থ বেড়ে যাওয়ায় কিডনি রোগে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার সমস্যা হতে পারে।

৬) ছোট ছোট শ্বাসঃ

কিডনি রোগে ফুসফুসে তরল পদার্থ জমা হয়। এ ছাড়া কিডনি রোগে শরীরে রক্তশূন্যতাও দেখা দেয়। এসব কারণে শ্বাসের সমস্যা হয়, তাই অনেকে ছোট ছোট করে শ্বাস নেন।

৭) পেছনে ব্যথাঃ

কিছু কিছু কিডনি রোগে শরীরে ব্যথা হয়। পিঠের পাশে নিচের দিকে ব্যথা হয়। এটিও কিডনি রোগের একটি অন্যতম লক্ষণ।

৮) দেহে ফোলা ভাবঃ

কিডনি শরীর থেকে বর্জ্যপদার্থ ও বাড়তি পানি বের করে দেয়। কিডনিতে রোগ হলে এই বাড়তি পানি বের হতে সমস্যা হয়। বাড়তি পানি শরীরে ফোলাভাব তৈরি করে।

৯) কোনো কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়াঃ

লোহিত রক্তকণিকা কমে যাওয়ার কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পরিবহন কমে যায়। এতে কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা হয়।

১০) সবসময় শীত বোধ হওয়াঃ

কিডনি রোগ হলে গরম আবহাওয়ার মধ্যেও শীত শীত অনুভব হয়। আর কিডনিতে সংক্রমণ হলে জ্বরও আসতে পারে।


ভারতের সেরা হাসপাতালের কিদনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঠিক পরামর্শ নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।



শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯

কিডনি সুস্থ রাখে যেসব খাবারঃ

বর্তমান সময়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে কিডনি রোগের সমস্যা।আমাদের নিজেদের কিছু অসতর্কতার জন্যই দেখা দেয় এই ধরণের সমস্যা যা পরবর্তীতে কিডনি ড্যামেজের কারণ হয়ে দাড়ায়। তবে কিছু খাবার আছে যা কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আসুন জেনে নেই সেই খাবারগুলো সম্পর্কে।


১) আপেলঃ

আপেল হচ্ছে উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার, এতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি আছে যা খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে হৃদ রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়াও এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আপেল কাঁচা বা প্রতিদিন এক গ্লাস আপেলের জুস করে খাওয়া কিদনির জন্য অনেক উপকারি।


২) ডিমের সাদা অংশঃ

ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং অ্যামিনো এসিড আছে যা কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে কিডনিকে সুস্থ রাখে। ডিম সিদ্ধ করে বা অমলেট করে খাওয়া যেতে পারে।

৩) মাছঃ


২০০৮ সালে প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অফ কিডনি ডিজিসের মতে, মাছ দেহে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। মাছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা প্রদাহ হ্রাস করে এবং কিডনিকে সুস্থ রাখে।

৪) লাল ক্যাপসিকামঃ
লাল ক্যাপসিকামে পটাশিয়াম কম পরিমাণে থাকে তবুও এটি কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন সি, , ভিটামিন বি সিক্স, ফলিক এসিড, ও ফাইবার রয়েছে। এছাড়া লাইকোপেন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে। রান্না বা সালাদ হিসেবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লাল ক্যাপসিকাম খেতে পারেন।

৫) বাঁধাকপিঃ

বাঁধাকপি কিডনি ফাংশন উন্নত করে থাকে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি সিক্স, সি, কে, ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড। এটি শরীরের পটাসিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। রান্না করে খেতে পারেন সালাদ করেও খাওয়া যেতে পারে।

৬) পেঁয়াজঃ

কিডনিকে সুস্থ রাখার আরেকটি অন্যতম উপাদান হল পেঁয়াজ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনোয়েড রয়েছে যা রক্তের চর্বি দূর করে থাকে। এছাড়া এতে কুয়ারসেটিন আছে যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে থাকে। পেঁয়াজে প্রোটিন, পটাশিয়াম আছে যা কিডনির জন্য অনেক বেশি উপকারী।

৭) রসুনঃ

রসুন ইনফ্লেমেটরি এবং কোলেস্টেরল কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা দেহের প্রদাহ দূর করে থাকে। তবে রান্না করে খেলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় না। ভাল হয় সকালে খালি পেটে কাঁচা রসূন খাওয়া, এটি হার্ট ভাল রাখার পাশাপাশি কিডনিকেও ভাল রাখে।


8) অলিভ অয়েলঃ

অলিভ অয়েল হৃদস্বাস্থ্য সুস্থ রাখার পাশাপাশি কিডনিও ভালো রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণ ওলিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা অক্সিডেসন কমিয়ে কিডনি সুস্থ রাখে।এটিও রান্নায় বা সালাদে ব্যবহার করা যেতে পারে।


বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯

হার্ট অ্যাটাক একটা মানুষের কখন হয় ?

   আমাদের অনেকের মধ্যে এই ধারনা যে, মানুষের বয়স বাড়লে , মোটা হলে বা দুশ্চিন্তা করলে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। কিন্ত, এটা ভুল ধারণা যে কোন সময় হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। বিশ্রামের সময়, ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ,ভারী কায়িক শ্রমের জন্য, কখনো ঠান্ডা আবহাওয়ায় বের হলে, ইমোশনাল স্ট্রেসের জন্য, কখনো আবার বেশি হাটা চলার মধ্যেও হয়ে থাকে।


হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক চিকিৎসা কি করা উচিৎঃ

অনেক সমায় হার্ট অ্যাটাক মানুষকে ১০ সেকেণ্ড সময় ও দেয় না, যার ফলে অ্যাটাক হওয়ার সাথে সাথে অধিকাংশ সময় মানুষ মারা যান, কারণ একা থাকার দরুন এটা হয়ে থাকে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে বুকের ওপর পাম্প করে হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন করতে হয় যেটা কোন ব্যাক্তির সাহায্য ছাড়া সম্ভব না। আর এই অবস্থায় বুকে ব্যথার শিকার ব্যক্তি নিজেকে সাহায্য করতে পারেন বার বার জোরে জোরে উচ্চস্বরে কাশি দিয়ে। শ্বাস – কাশি…’ এই প্রক্রিয়া প্রতি দুই সেকেণ্ডে একবার করে করতে থাকুন, যতক্ষণ না পর্যাপ্ত অক্সিজেন হৃদযন্ত্র কে সংকোচন-প্রসারণ করে একাই স্বাভাবিকভাবে স্পন্দিত হতে থাকে।

হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বুঝতে পারলে তখনি এসপিরিন বা ওয়ারফেরিন ফর্মূলার ওষুধ খাওয়াতে হবে এতে রক্ত জমাট বাঁধতে পারবেনা আর নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে জিহবার নিচের অংশে করতে হবে। হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাহস দিতে হবে, না হলে তারা নিজের দিক থেকে অনেকটা ভেঙে পরে, যেটা পরবর্তীতে খারাপ হতে পারে।



হার্ট অ্যাটাক প্রতিকারে কি করণীয়

যেসব কারণে রক্তনালীর আবরণ ফেটে যায়, সে রকম কাজ থেকে বিরত থাকুন

নিয়মিত হাঁটা চলা ও হালকা ব্যায়াম করুন

যাদের বয়স ৪০ বছর পার হয়ে গেছে তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি, তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজন মত অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খেতে থাকলে রক্ত জমাট বাধার প্রবণতা কমে যায়

কোলস্টেরল কমানোর ওষুধগুলো রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কমানো ছাড়াও রক্তনালির ওপর জমে থাকা চর্বি পরিষ্কার করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়

দুশ্চিন্তা না করা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখা

ধুমপান ও মাদক থেকে দূরে থাকা

প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি ও ফল-মূল খাওয়া, এছাড়াও নিয়মিত কাঁচা রসুন খেতে পারেন